তাফসীর ও আনুসাঙ্গিক
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) (…..-৬৮হি:)
পবিত্র আল-কুরআনের ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ছিলেন শীর্ষস্থানীয় মুফাসসির। প্রবীণ সাহাবাগণও কুরআনের শব্দ ও বিষয়ের ব্যাখ্যায় তাঁর মতামত নিতেন। পরবর্তী যুগে যত মুফাসসির তাফসীর গ্রন্থ রচনা করেছেন প্রায় সকলেই তাফসীরের মুল সুূত্র হিসেবে হযরত ইবন আব্বাস রা. -কে উল্লেখ করেছেন। শুধুমাত্র তাঁর সূত্রের উপর ভিত্তি করে পবিত্র আল-কুরআনের একটি তাফসীর গ্রন্থ সংকলিত হয়েছে যা তাফসীরে ইবনে আব্বাস নামে পরিচিত।
আল্লামা কাজী মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ পানিপথী (র) (……-১২২৫ হি:)
তাফসীরে মাযহারী পবিত্র কুরআনের ১৩ তম শতাব্দীর তাফসির গ্রন্থ। হানাফী মাযহাবের একনিষ্ঠ অনুসারী সুন্নি ইসলামী পন্ডিত কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথীর লেখা বইটি। তিনি এই তাফসীরের নাম রেখেছেন ‘আল-তাফসীর আল-মাজহারী’, তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু মির্জা মাজহার জান-ই-জানন দেহলভীর নাম অনুসারে। তাঁর এই তাফসীর খুব সহজ , স্পষ্ট এবং কোরআনের আয়াতগুলির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা শিক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। কুরআনের শাব্দিক বর্ণনার পাশাপাশি তিনি বিশদ বিবরণও দিয়েছেন এই গ্রন্থে।
তাফসীর ইবন কাসীর হচ্ছে কালজয়ী মুহাদ্দিস মুফাসসির যুগশ্রেষ্ঠ মনীষী আল্লামা হাফিয ইবন কাসীরের একনিষ্ঠ নিরলস সাধনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের অমৃত ফল। তাফসীর জগতে এ যে বহুল পঠিত সর্ববাদী সম্মত নির্ভরযোগ্য এক অনন্য সংযোজন ও অবিস্মরণীয় কীর্তি এতে সন্দেহ সংশয়ের কোন অবকাশ মাত্র নেই। ১৯৮৪ সালে ড. মুহাম্মাদ মুজীবুর রাহমান তাফসীরটির বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন।