ইসলামী ইতিহাস ও জীবন চরিত
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া মুফাসসির ও ইতিহাসবিদ আবুল ফিদা হাফিজ ইবনে কাসির আদ দামেশ্কী (রহ.) কর্তৃক আরবি ভাষায় রচিত একটি ইতিহাস গ্রন্থ। বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এর বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার বিশাল সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিতত্ত্ব ও রহস্য, মানব সৃষ্টিতত্ত্ব তথা মানব ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা, নবী-রাসুলদের আগমন ও তাঁদের কর্মব্যস্ত জীবনের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে এ গ্রন্থে।
‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ একটি ইতিহাস গ্রন্থ হওয়া সত্ত্বেও এ গ্রন্থে ব্যবহৃত উচ্চস্তরের ভাষা ও এর সাহিত্যিক মানের কারণে বিখ্যাত আরবি সাহিত্যিকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আল্লামা ইবনে কাসির তার এ গ্রন্থের প্রতিটি আলোচনা কোরআন, হাদিস, সাহাবা ও বিভিন্ন মনীষীর উক্তি দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। এ ক্ষেত্রে লেখক কোনো তথ্য বা বর্ণনাতে অতিরঞ্জন, অতিকথন বা নিজের পক্ষ থেকে কোনো পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন পরিহার করেছেন।
ইসলামের ইতিহাস বইটি বিখ্যাত সাহিত্যিক এবং ঐতিহাসিক মাওলানা আকবর শাহ খান নজিবাবাদী তাঁর গ্রন্থের [তারীখে ইসলাম] প্রথমদিকে ইতিহাসের সংজ্ঞা, ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা, ইসলামের ইতিহাস ও সাধারণ ইতিহাস সংক্রান্ত পর্যালোচনা করেছেন। এরপর আরবদেশ, আরবদেশের অবস্থান, প্রকৃতি ও এর অধিবাসী সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর জন্ম হতে ওফাত পর্যন্ত যাবতীয় ঘটনা সবিস্তার বিবৃত হয়েছে। গ্রন্থখানির পরিসমাপ্তি ঘটেছে খুলাফায়ে রাশেদার আমলে ইসলাম প্রচার, দেশ বিজয় ও রাজ্য শাসন ইত্যাদি বিষয়ের নিখুঁত, নির্ভুল ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনার মাধ্যমে। যার ফলে গ্রন্থখানি প্রাণবন্ত, অনবদ্য ও অনিন্দ্যরূপ পরিগ্রহ করেছে। এ মূল্যবান গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ইসলামী বিশ্বকোষ হলো ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বিশ্বকোষের গ্রন্থ। এটিতে ইসলাম সম্পর্কিত বিভিন্নমুখী জ্ঞানের ভান্ডার রয়েছে। ইসলামের ব্যাপক বিষয় ইসলামি বিশ্বকোষের অন্তর্ভুক্ত। এটি ২৫ খণ্ডের একটি সংক্ষিপ্ত অর্থবহ সংস্করণ। বাংলাদেশে প্রথম ইসলামী বিশ্বকোষের প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন বাংলা একাডেমী। ডাঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কিছু সময়ের জন্য এই প্রকল্পের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ঈমানদীপ্ত দাস্তান (এনায়তেুল্লাহ আলতামাস) দুনিয়া থেকে ইসলামের নাম-চিহ্ন মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে খৃষ্টানরা। অর্থ-মদ আর রূপসী নারীর ফাঁদে ফেলে ঈমান ক্রয় করতে শুরু করে মুসলিম আমীর ও শাসকদের। একদল গাদ্দার তৈরী করে নিতে সক্ষম হয় তারা সুলতান আইউবীর হাই কমান্ড ও প্রশাসনের উচ্চতরে। সেই স্বজাতীয় গাদ্দার ও বিজাতীয় ক্রুসেডারদের মোকাবেলায় অরিরাম জিহাদ চালিয়ে যান ইতিহাসশ্রেষ্ঠ বিজয়ী বীর মুজাহিদ সুলতান সালাউদ্দীন আইউবী। তাঁর সেই শ্বাসরুদ্ধকর অবিরাম জিহাদের নিখুঁত শব্দ চিত্রায়ন “ঈমানদীপ্ত দাস্তান”।