ইসলামে আদব-শিষ্টাচারঃ শিষ্টাচার গঠনের (পর্ব-২) – At Tazkiah
আদব বা শিষ্টাচার গঠনে ইসলাম পারিবারিক ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ ব্যবস্থাপনা সহ কিছু উপাদানের প্রতি বিশেষ ভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। এই পর্বে যা কিঞ্চিৎ আলোচনা করবো।
পরিবারঃ পরিবার হলো মানবসমাজ গঠনের মৌলিক উপাদান। তাই পরিবার গঠন, প্রক্রিয়া, বন্ধন, দায়দায়িত্ব, অধিকার, এক কথায় পরিবার ব্যবস্থাপনার প্রতি ইসলাম খুবই গুরুত্ব আরোপ করেছে কারণ একটি আদর্শ পরিবার হল একটি আদর্শ সমাজের প্রথম ভিত্তি। পারিবারিক শিক্ষা ও শিষ্টাচারের মাধ্যমেই সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে তৈরি হয় ভালোবাসা ও হৃদ্যতা। নিষ্কলুষ জীবনযাপন ও মানবিক চাহিদা পূরণের বৈধ পন্থা হলো পরিবার। পরিবারের মাধ্যমে অব্যাহত থাকে আপন বংশপরিক্রমা। অন্তরজুড়ে বিরাজ করে মানসিক প্রশান্তি। আল্লাহ তাআলার নিদর্শনাবলির অন্যতম হলো একটি হল পরিবার। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জোড়া; যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং সৃজন করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সহমর্মিতা। নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।। [সুরা: রুম, আয়াত: ২১] অন্য আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেন,
وَاللَّهُ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا وَجَعَلَ لَكُم مِّنْ أَزْوَاجِكُم بَنِينَ وَحَفَدَةً وَرَزَقَكُم مِّنَ الطَّيِّبَاتِ ۚ أَفَبِالْبَاطِلِ يُؤْمِنُونَ وَبِنِعْمَتِ اللَّهِ هُمْ يَكْفُرُونَ
‘আর আল্লাহ তোমাদের থেকেই তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদের জন্য পুত্র-পৌত্ৰাদি সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দান করেছেন। তবুও কি তারা বাতিলের স্বীকৃতি দিবে আর তারা আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?’ [সুরা: নাহল, আয়াত: ৭২]
সন্তান সন্ততি আল্লাহর পক্ষ থেকে পবিত্র আমানত। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা, মুত্তাকী, আদর্শবান, মার্জিত করা ও উত্তম লালন পালন করা মা –বাবা ও পরিবারের সদস্যদের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। পরিবার হচ্ছে শিষ্টাচার গঠনের প্রথম ও প্রধান ক্ষেত্র। বিশেষ করে মা ও বাবার ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা-বাবার আচার আচরন, মমতা, ভালোবাসা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, উদারতা, দয়া, কল্যান, মহানুভবতা, সত্যাবাদিতা, এক কথায় সব কিছুই তাঁদের সন্তানদেরকে প্রভাবিত করে। ইসলামী পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় উজ্জীবিত একটি পরিবার সমাজের জন্য আমানিশার লন্টন যা আলোকিত করে গোটা সমাজকে। ইসলামী জ্ঞান -বিজ্ঞান, সভ্যতা গঠনে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের অধিকাংশই মুত্তাকী মা-বাবার তত্ত্বাবধানে বিশেষ ভাবে লালিত-পালিত হয়েছেন। ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ) বলেন, বাগদাদের হাড় কাঁপানো শীতের প্রত্যুষে আমার মা ফজরের ওযুর পানি গরম করে দিতেন এবং চাদরের আস্তিনের নীচে করে মসজিদে নিয়ে যেতেন ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য। একজন বাবা হালাল উপার্জন নিশ্চিত করেন এবং পরিবারের সবার চাহিদা পূরণ করেন। বস্তুবাদী পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থার ফলে পারিবারিক বন্ধন, শিক্ষা-সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির মুখে ফলে সমাজে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট আজ হুমকির মুখে। মানবতার বিপর্যয়, চারিত্রিক অধঃপতন, নৈতিকতার অবক্ষয়, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ইত্যাদীর মূলে পারিবারিক শিক্ষা ও আদবের সংকট।
পারিবারিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অনৈতিকতা সন্তানদের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে যা পরবর্তীতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক অবক্ষয়ে রূপ নেয়। পরিবার গঠনে ইসলামের সর্বপ্রথম দিকনির্দেশনা হচ্ছে, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে ন্যায় ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা তাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করো। ’ [সুরা: নিসা, আয়াত: ১৯]
পরিবারের সন্তানদের দ্বিনি জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক। তাদের আদব-কায়দা ও ইসলামী শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে পরিবারের সবাই দ্বিনি বিধি-বিধান পালনে অভ্যস্ত হবে। পরিবারকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া নারী-পুরুষ উভয়ের দায়িত্ব। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল। সে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর ঘরের দায়িত্বশীল। সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৫৫৮]
বস্তুত ইসলামের সুমহান আদর্শ ও শিক্ষা পালনের মাধ্যমেই সবাই সুখে-শান্তিতে পরিবারে বসবাস করতে পারবে। পারস্পরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যবোধে ভরপুর হবে পরিবার। পরিবারের মধ্যে তৈরি হবে সুদৃঢ় বন্ধন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ পশ্চিমা আগ্রাসন শুধুমাত্র রাজনৈতিক আগ্রাসন ছিলনা। এই আগ্রাসন ধর্মীয়, পারিবারিক, শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও সমান ভাবে প্রভাব ফেলেছে। ইসলামকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রসাসনিক ও রাষ্টীয় ব্যবস্থাপনা সহ যাবতীয় ক্ষেত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে Westernization বা পশ্চিমাকরণ এবং Secularization বা ধর্মহীন করে দেয়া হয়েছে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার নামে ধর্মীয় শিক্ষাকে খাটো কিংবা শুধুমাত্র ইবাদাত ও পারিবারিক আইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা নামে মাদ্রাসা ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নামে স্কুল প্রতিষ্টা করা হয়েছে। দাঁড় করানো হয়েছে দুটি শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে দুঃখ জনক হলেও সত্য যে এই দুটি শিক্ষা ব্যবস্থার একটিও পরিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা নয়। এসব বুঝতে হলে আমাদেরকে ইসলামী শিক্ষা দর্শন সম্পর্কে অবগত হওয়া জরুরী।
পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ পেশা হলো শিক্ষকতা। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম নিজকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেছেন, ‘আমাকে শিক্ষক হিসেবেই প্রেরণ করা হয়েছে।’
শিক্ষালয় এমন একটি জায়গা যেখানে শিক্ষার্থীদের শারিরিক, মানুষিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, চারিত্রিক, আদর্শিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে। শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসা-সম্পন্ন হবেন, নিয়মিত জ্ঞানচর্চা করবেন, মেধা বিকাশে সহায়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিবেন, স্নেহ-মমতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন, সকল শিক্ষার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞান লাভে উৎসাহিত করবেন, শাসন করবেন তবে প্রহার বা নির্মমতা প্রদর্শন করবেন না, শিক্ষার্থীদের মনন, পছন্দ-অপছন্দ ও কোনো কিছু গ্রহণ করার ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে দৃষ্টি দিবেন, নিয়মনীতির ক্ষেত্রে কঠোর হবেন এবং অভিভাবকের জায়গায় নিজেকে প্রতিস্থাপিত করে অনুকরণীয় হবেন। তাহলেই প্রত্যাশা মোতাবেক শিষ্টাচার ও আদব-কায়দা সম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা সম্ভব।
আজ শিক্ষক ও শিক্ষারথীর যে সমস্ত শিষ্টাচার থাকা আবশ্যক তা অপ্রতুল। আজ শিক্ষা নিচক বাণিজ্য! আজ সত্যিকার শিক্ষকের অভাব যারা জাতী গঠনের কারিগর হবেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থা বিপযস্ত। শিক্ষা ব্যবস্থা ইসলামীকরণের মাধ্যমে সুনাগরিক, নৈতিক ও শিষ্টাবান সমাজ ও জাতী গঠন সম্ভব। শেখ সাদী প্রার্থনা করেছেন, হে খোদা, তুমি আমাকে আদব শিক্ষা দাও, যেহেতু বেয়াদব তোমার অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত। আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ) বলেন, অনেক বেশি জ্ঞানের চেয়ে অল্প আদব-কায়দা অনেক বেশি উত্তম। তিনি আরো বলেন, আমি ত্রিশ বছর যাবত আদব অর্জন করেছি আর বিশ বছর জ্ঞান অর্জনে ব্যয় করেছি। কোনো ব্যক্তি জ্ঞান দ্বারা মহৎ হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার জ্ঞানকে আদব দ্বারা সৌন্দর্যমন্ডিত না করবে।’ ‘অনেক বেশি জ্ঞানের চেয়ে কম আদব অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।’ হযরত লোকমান (আ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি আদব কোথা থেকে শিখেছেন? উত্তরে তিনি বলেছেন, বেয়াদব থেকে। কেননা তারা যা করে আমি তা করি না।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও আদব বা শিষ্টাচার অর্জনের অন্যতম এক মাধ্যম হচ্ছে সুহবাহ বা সৎসঙ্গ। পৃথিবীতে আধ্যাত্মিকতা, আখলাক, শিষ্টাচারের শিক্ষা বিস্তারে খানকার ভূমিকা অনন্য। হাজার বছর ধরে কামেল পীর বা আওলিয়ায়ে কিরামগণ ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে লক্ষ লক্ষ খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। এসব খানকাহ সমূহ ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহারীত হয়েছে। প্রায় হাজার বছরের অধিক সময় ধরে আদ্যবধি এসমস্ত খানকাহ নৈতিক শিক্ষা, আধ্যাত্মিকতা ও শিষ্টাচার শিক্ষায় দারুন অবদান রাখছে। সুতরাং আধ্যাত্মিক ও চাতিত্রিক উৎকর্ষ সাধনে সুহবাহ বা সৎসঙ্গের বিকল্প নেই।
সুস্থ্য সংস্কৃতিঃ বলা হয় ধর্ম হচ্ছে সংস্কৃতির একটি উপাদান। যদি বলা হয় সুস্থ্য সংস্কৃতি ধর্মের একটি উপাদান এতেও কোন বিরোধ নেই কারণ ইসলাম গোত্রীয় কিংবা আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে লালন করে যদি তা ধর্মীয় বিশ্বাস কিংবা শিক্ষার বিপরীত না হয়। ধর্মবিশ্বাসের কারণে সাংস্কৃতিতে বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্য করছি যে, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং প্রেরণা সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সকলের ক্ষেত্রেই ধর্মবিশ্বাসটি জীবনের প্রেরণার উৎস। এ দেশের বিভিন্ন উৎসবের উৎস অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে, সেগুলোর প্রায় সব কয়টিই ধর্মভিত্তিক। ধর্মভিত্তিক ছাড়াও যে সকল গোত্রীয়, জাতীয় কিংবা আঞ্চলিক উৎসব রয়েছে তাতে জনকল্যাণ, সুস্থ্য বিনোদন কিংবা সার্বিক কল্যান নিহিত রয়েছে। সুস্থ্য সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে নৈতিকতা, উদারতা, সহনশীলতা সহ নানা শিষ্টাচারের চর্চা হয়।
ইসলাম নিছক বিশ্বাস, নৈতিক, চারিত্রিক, আধ্যাত্মিক, রাজনতিক্ সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক বিপ্লব সাধনের জন্য আসেনি। ইসলাম এসেছে মানুষের চিত্ত, চিন্তা, চেতনা ও কর্মকে পরিশুদ্ধ করার জন্য। মানুষের চিন্তা ও কর্মের এ পরিশুদ্ধির প্রচেষ্টাকেই বলা হয় সামগ্রিক অর্থে সাংস্কৃতিক বিপ্লব। ইসলাম একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। ফলে ইসলাম ছাড়া জীবন পরিচালনা মানেই হচ্ছে, অপূর্ণাঙ্গ বিধান দ্বারা পরিচালিত হওয়া। আর অপূর্ণাঙ্গ বিধান দ্বারা জীবন পরিচালনার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে অসঙ্গতি ও ত্রুটিপূর্ণ জীবন যাপন করা। স্বাভাবিকভাবেই এ জীবন অসংস্কৃতি বা অপসংস্কৃতি শিকার হতে বাধ্য। এ জন্যই বলা যায়, পরিপূর্ণ মুসলমান হওয়া ছাড়া পরিপূর্ণ সংস্কৃতিবান হওয়া সম্ভব নয়। যখন সুস্থ্য ধারার সংস্কৃতি চর্চা বাধাগ্রস্থ হয় তখন অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটে। বিশ্বায়নের নেতিবাচক দিক হচ্ছে ধর্মীয়, নিজস্ব ও আঞ্চলিক সংস্কৃতি বিলোপ করে পশ্চিমা সংস্কৃতির বাজারজাত করণ। এমতবস্থায় সমাজ ও জাতীকে সুস্থ্য ধারার সংস্কৃতিতে প্রবুদ্ধ করতে সবাই সতেষ্ট থাকা অনিবার্য।
অপসাংস্কৃতির আগ্রাসন এক নীরব ঘাতক। মুসলমানদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ বিনষ্ট করার লক্ষ্যে অপশক্তি তার অপসাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাদের ভোগবাদী দৃষ্টির বিস্তার ঘটিয়ে মুসলমানদের চিরায়ত মূল্যবোধ বিনষ্ট করে দিচ্ছে তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। সংস্কৃতির নামে অশ্লীলতা, বাক স্বাধীনতার নামে সীমালঙ্ঘন, অধিকারের নামে অবাধ্যতা সহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটা শ্রেণী।