সুরা আসর ও মানব জীবন ব্যবস্থাপনা – At Tazkiah
সুরার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
নামঃ সুরা আল-আসর/ সুরাতুদ দাহর
আয়াতের সংখ্যাঃ তিন
অবতীর্ণের স্থানঃ পবিত্র নগরী মক্কা
কুরআনে ধারাবাহিক অবস্থানঃ এটি পবিত্র কুরআনের ১০৩ নং সুরা।
অবতীর্ণের দিক থেকে অবস্থানঃ ১৩তম সুরা
সুরাটিতে ১৪ টি শব্দ ও ৬৮টি বর্ণ রয়েছে। [ফাইরুযাবাদী, বাছায়িরু জাওয়াত তামীয, ৫/৪৪২]
সুরাটি সুরা ইনশিরাহর পরে ও সুরা আল-আদিয়াতের আগে অবতীর্ণ হয়েছে। [ইবনে আশুর, আত- তাহরীর ওয়াত-তানভীর, ৩০/৫২৭]
সুরা আল-আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের জীবন ও পার্থিব সমৃদ্ধি ও পরকালিন মুক্তির উপায় বাতলে দিয়েছেন যা সর্ব কালে সর্ব যুগে দুনিয়ার সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য। সুরাটি মানব জীবন ব্যবস্থার রূপরেখা যা ইসলাম প্রতিটি মানুষের জন্য কামনা করে। ইমাম শাফেঈ (রহ.) (১৫০-২০৪ হিঃ) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো। [তানতাবী, তাফসিরুল ওয়াসিত, ১৫/৪৯৯]
প্রথম আয়াতঃ
(১) وَالْعَصْرِ ‘কালের শপথ’।
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, العصر أى الدهر ‘আছর’ অর্থ ‘কাল’ (কুরতুবী)। ওয়াও (واو) হল শপথের অব্যয়। অর্থাৎ কালের শপথ। এখানে কাল বলতে তাফসীর কারকগণ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন,
ক- কাল বলতে এখানে সামগ্রিক ভাবে সকল কালকে বুঝানো হয়েছে।
খ- কারো কারো মতে আসর বলতে আসরের সময়কে বুঝানো হয়েছে।
গ- আসরের নামাজের সময়কে বুঝানো হয়েছে। এটি ইমাম মুকাতিলের মন্তব্য।
ঘ- আসর দ্বারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলিহি ওয়াস সাল্লামের সময়কালকে বুঝানো হয়েছে।
ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (৫৪৪-৬০৬ হি:) (রহ) বর্ণিত প্রতিটি মন্তব্যের পিছনে দলীল সমূহ বর্ণনা করেছেন। হযরত হাসান বসরী (রহ) বলেন, “আল্লাহ তায়লা আসরের সময়ের সপথ করেছেন কারন তখন দুনিয়ার বাজার সমূহ শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে। সে যদি বাজার থেকে খালি হাতে ঘরে ফিরে আসে তাহলে পরিবারের সদস্যগণ তাঁদের চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে ফলে তাকে লজ্জিত হতে হয়। তেমনি ভাবে দুনিয়া নামক বাজার অচিরেই বন্ধ হবে [ব্যক্তির মৃত্যু অথবা কিয়ামতের মাধ্যমে] সুতরাং তাকে লজ্জিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে কিয়ামতের ময়দানে …”
[রাযী, তাফসীরে কাবির, ৩২/২৭৬-২৭৭]।অত্র আয়াতে কাল বলতে এখানে সামগ্রিক ভাবে সময়কে বুঝানো হয়েছে যার মধ্যে আদম সন্তানের ভাল-মন্দ সকল কাজ সম্পাদিত হয়। [ইবনু কাছীর, তাফসীরে ইবনে কাসির, ৮/৪৮০]
আল্লাহ তায়লা কেন সময়ের শপথ করেছেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে তাফসীর কারকগণ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন-
ক- আল্লাহর তায়লা পবিত্র কুরআনে যে সমস্ত বিষয়ে শপথ করেছেন সেসব বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে তিনি শপথ করেছেন।
খ- আল্লাহ তায়লা কালের শপথ করেছেন এজন্যই যে, বান্দা ভাল-মন্দ যে কাজই করুক না কেন তা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এই তিনকালের মধ্যেই তাকে করতে হয়। এর বাইরে গিয়ে সে কিছু করার সুযোগ নেই। অতএব বান্দাকে সবসময় আল্লাহর দৃষ্টির সামনেই থাকতে হয়। কেননা বান্দার হিসাবে কাল তিনটি হ’লেও আল্লাহর নিকটে সবই বর্তমান কাল।
গ- আল্লাহ তায়লা এখানে কাল বলতে কালের পরিক্রমায় ঘটে যাওয়া সব ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যাতে বর্তমানের অবিশ্বাসীরা বিগত যুগের অবিশ্বাসী ও অহংকারীদের পতন ও ধ্বংসের কারণ সন্ধান করলে তার প্রমাণ পেতে পারে। ইতি পূর্বে নূহের কওম, আদ, ছামূদ, লূত, শু‘আয়েব, ফেরাঊন প্রমুখ বিশ্বের সেরা শক্তিশালী সম্প্রদায়গুলি আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়ে গেছে কেবল বর্ণিত চারটি গুণ তাদের মধ্যে না থাকার কারণে কাল যার সাক্ষী!! সুতরাং যেকোন জ্ঞানী যাতে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
বিশিষ্ট তাফসীর কারক আল্লামা তানতাভী জাওহারী (রহ) বলেন, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়লা প্রায় ৪০টি বিষয়ের শপথ করেছেন। তন্মধ্যে ২০টি ভূমন্ডলীয় ও ২০টি নভোমন্ডলীয়।
এই চল্লিশটি সৃষ্ট বস্ত্তর শপথের মধ্যে আলোচ্য সূরা আছর অর্থাৎ কালের শপথ যা পবিত্র কুরআনের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী সর্বশেষ শপথ। এটা এই ইঙ্গিত করে যে, পৃথিবীতে মনুষ্যজাতির আগমনের পর থেকে এযাবৎকাল সংঘটিত মানবেতিহাসের উত্থান-পতনের ঘটনাবলী আমাদের পরবর্তী বক্তব্যের জীবন্ত সাক্ষী। যুগে যুগে বিজ্ঞানী ও চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ যা থেকে উপদেশ হাছিল করবেন।
২ ‘নিশ্চয়ই সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’।
প্রখ্যাত মুফাসসির ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (৫৪৪-৬০৬ হি:) (রহ) বলেন, সময় বা আসরের তাৎপর্য সম্পর্কে কিছু সালফে সালেহীন বলেন, আমরা এই সুরার মর্মার্থ অনুধানবন করেছি যখন জনৈক বরফ বিক্রেতার আওয়ায তাঁদের কানে ভেসে এল। সে চিৎকার দিয়ে ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলছে, اِرْحَمُوْا مَنْ يَّذُوْبُ رَأْسُ مَالِهِ ‘তোমরা রহম কর ঐ ব্যক্তির প্রতি, যার পুঁজি প্রতি মুহূর্তে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে’। একথা শুনেই তারা বলে উঠলেন, ‘এটাই তো “‘নিশ্চয়ই সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে” এই আয়াতের কিংবা এই সুরার অরথ। যার বয়স চলে যাচ্ছে। অথচ কোন সৎকর্ম করছে না। সে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত’ [তাফসীর রাযী, ৩২/২৭৮]
নিশ্চয়ই ‘কাল’ প্রতি সেকেন্ডে সময়ের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। অতএব প্রত্যেক মানুষকে তার সংক্ষিপ্ত আয়ুষ্কালের মধ্যেই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। কেননা সে প্রতি সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাযার মাইল (৩ লক্ষ কি: মি:) গতিবেগে তার মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। বরফ গলার ন্যায় প্রতি সেকেন্ডে তার আয়ু শেষ হয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে কালের স্মৃতিপটে তার প্রতিটি কথা ও কর্ম লিপিবদ্ধ হচ্ছে। এ কারণেই আল্লাহ কালের শপথ করেছেন।
আমরা যে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সর্বদায় ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত সে কথাটা জোরালোভাবে ব্যক্ত করার জন্য সূরার শুরুতে وَالْعَصْرِ -এর واو দ্বারা শপথ, অতঃপর অত্র বাক্যের শুরুতে إِنَّ বা নিশ্চয়ই এবং শেষে لَ (لَفِيْ তথা আবশ্যই সহ মোট তিনিট নিশ্চয়তাবোধক অব্যয় আনা হয়েছে। বিগত যুগের বিধ্বস্ত সভ্যতাসমূহ এবং বর্তমান যুগের ধর্মনিরেপক্ষ বস্ত্তবাদী সভ্যতাসমূহ যা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে চলেছে, এগুলি হ’ল আল্লাহর উপরোক্ত সাবধানবাণীর বাস্তব প্রমাণ।
মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষতিতে রয়েছে হোক সেটা ইহকালীন অথবা পরকালীন।
পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানগর্বী রাষ্ট্রনেতাদের অমানবিক কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এন্থনী ইডেন ১৯৩৮ সালে বলেছিলেন, ‘যদি কিছু না করা হয়, তাহ’লে এই পৃথিবীর অধিবাসীরা এই শতাব্দীর শেষভাগে আদিম গুহাবাসী ও বন্য লোকদের জীবন ধারায় ফিরে যাবে। কী আশ্চর্য! পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলো এমন এক অস্ত্রের হাত থেকে বাঁচার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে, যার ভয়ে সবাই ভীত। কিন্তু তা আয়ত্তে আনতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেউ রাযী নয়। কোন কোন সময় আমি বিস্ময়ের সাথে ভাবি, যদি অন্য কোন গ্রহ থেকে কোন পর্যটক আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহে নেমে আসেন, তাহ’লে তিনি পৃথিবীকে দেখে কি বলবেন? তিনি দেখবেন, আমরা সকলে মিলে আমাদেরই ধ্বংসের উপকরণ তৈরী করছি। এমনকি আমরা একে অপরকে তার ব্যবহার পদ্ধতিও বাৎলে দিচ্ছি’।[আবুল হাসান আলী নাদভী, মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কি হারালো? ৩য় মুদ্রণ ২০০৪, পৃঃ ২৬২] এই সতর্কবাণীর মাত্র তিন বছর পরেই শুরু হয়ে যায় পাঁচ বছরব্যাপী ২য় বিশ্বযুদ্ধ। যাতে প্রায় ৩ কোটি মানুষ নিহত হয়। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে মানব সভ্যতার ইতিহাসে বর্বরোচিত ঘটনা।
৩ ‘তারা ব্যতীত, যারা ঈমান এনছে ও সৎকর্ম সম্পাদন করেছে এবং পরস্পরকে ‘হক’-এর উপদেশ দিয়েছে ও পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে’।
অত্র আয়াতে আল্লাহ তায়লা মানব জাতীকে ইহকালিন ও পরকালিন ক্ষতি ও ধংশ থেকে উত্তরণের চারটি পন্থা বাতলে দিয়েছেন।
ক- ইমানঃ ইমান হচ্ছে ভিত্তি। যে ভিত্তির মূলনীতি অনুযায়ী জীবন পরিচালিত হবে।
খ- সৎকাজঃ সৎকাজ যাতে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট ও মানবতার জন্য ইহকালিন ও পরকালিন কল্যাণ রয়েছে। পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াতে ইমান ও সৎকাজ আদেশ এক সাথে দেওয়া হয়েছে কারণ সৎকাজই ইমানের প্রমাণ। ইমান বা বিশ্বাস যা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত আর সৎকাজ মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাথে সম্পৃক্ত। ইমান ও আমল একটি অপরটির নিদর্শক। তাইতো পবিত্র কুরআনে ইমান ও উত্তম কাজের কথা একাত্রে প্রায় ৭৫ জায়গায় এসেছে। [বিনতে শাতী, আয়েশা আব্দুর রহমান, আত-তাফসীরুল বায়ানী লিল কুরআন, মিশরঃ দারুল মায়ারেফ, সপ্তম সংস্করণ, ২/৬৬]
আল্লাহ তায়লা ইরসাদ করেন, ‘আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ তাদের আপ্যায়নের জন্য জান্নাত হবে তাদের বাসস্থান’ (সাজদাহ ৩২/১৯)। তিনি আরো ইরসাদ করেন, ‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই হ’ল সৃষ্টির সেরা’। ‘তাদের জন্য প্রতিদান রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকটে চিরস্থায়ী বসবাসের বাগিচাসমূহ; যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় নদী সমূহ। যেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট এবং তারাও তাঁর উপরে সন্তুষ্ট। এটা তার জন্য, যে তার পালনকর্তাকে ভয় করে’ (বাইয়েনাহ ৯৮/৭-৮)।
গ- দাওয়াহ : ‘পরস্পরকে হক-এর উপদেশ দেওয়া’ (وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ)। এটি হ’তে হবে আল্লাহর পথে পরকালীন স্বার্থে এবং আল্লাহ প্রেরিত হক-এর দিকে। যেমন আল্লাহ বলেন, وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلاً مِّمَّنْ دَعَا إِلَى اللهِ وَعَمِلَ صالِحاً ঐ ব্যক্তির চাইতে উত্তম কথা কার আছে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে… (হা-মীম সাজদাহ ৪১/৩৩)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম ইরসাদ করেন, الدِّينُ النَّصِيحَةُ ‘দ্বীন হ’ল নছীহত’। প্রত্যেক মুমিন পরস্পরকে হক-এর উপদেশ দিবে। যেমন কাউকে শিরক কিংবা বিদ‘আত করতে দেখলে বা কোন ফরয কাজে গাফলতি দেখলে তাকে বলবে, হে ভাই! শিরক বর্জন কর। ফরয কাজটি আগে সম্পন্ন কর। অনুরূপভাবে কাউকে কোন অন্যায় করতে দেখলে বলবে, হে ভাই! আল্লাহকে ভয় কর! অন্যায় থেকে বিরত হও।
الحق هو الشرع ‘হক’ হ’ল আল্লাহর বিধান।
ঘ- সবরঃ ‘পরস্পরকে সবরের উপদেশ দেওয়া’ (وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ)। আল্লাহ তায়লা বলেন, إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُوْنَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ ‘ধৈর্য্যশীল বান্দাদের বেহিসাব পুরস্কার দান করা হবে’ (যুমার ৩৯/১০)।
‘ছবর’ তিন প্রকারঃ
(১) বিপদে ছবর করা
(২) পাপ থেকে ছবর করা অর্থাৎ বিরত থাকা
(৩) আল্লাহর আনুগত্যে ছবর করা অর্থাৎ দৃঢ় থাকা
প্রথমটি ‘আম’ বা সাধারণ। দ্বিতীয়টি ‘হাসান’ বা সুন্দর এবং তৃতীয়টি ‘আহসান’ বা সবচেয়ে সুন্দর। যদি সবগুলি কেবল আল্লাহর ওয়াস্তে হয়। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সত্যের পথে উক্ত তিন প্রকার ছবর এখতিয়ার করার তাওফীক দান করেন।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন হাফ্ছ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণের মধ্যে এমন দু’জন ছাহাবী ছিলেন, যারা মিলিত হ’লে একে অপরকে সূরা আছর না শুনিয়ে পৃথক হ’তেন না।[তাবরানী, হা/২৬৪৮]
লিখেছেন:
ড. মোহাম্মাদ নুরুন্নাবী আল-আযহারী
এসিস্টেন্ট প্রফেসর & হেড, ডিপার্টমেন্ট ওফ ইসলামীক স্টাডিজ, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ।