জুমার দিনের করণীয়
জুমার নামাজের পূর্বে ও নামাজের মাঝে করণীয়
জুমার দিন হলো অত্যন্ত বরকতময় একটি দিন এ দিনের ফযিলত ও গুরুত্ব নিয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে অসংখ্য আলোচনা রয়েছে। তম্মধ্যে একটি হাদীস তুলে ধরা হলো:
وَعَنْ أَبي عَبدِ اللهِ سَلْمَانَ الفَارِسِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: « لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَينِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى ». رواه البخاري
অর্থাৎ আবূ আব্দুল্লাহ সালমান ফারেসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিনে গোসল করে, যথাসম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে অথবা ঘরের সুগন্ধি নিয়ে লাগায়। অতঃপর জুমআর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে দু’জনের মধ্যে পৃথক করে না। তারপর তার ভাগ্যে যতটা লেখা হয়েছে, ততটা নামাজ আদায় করে, তারপর যখন ইমাম খুৎবা দেয় তখন সে চুপ থাকে, তাহলে তার জন্য এক জুমআহ থেকে অন্য জুমআহ পর্যন্ত কৃত পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’’ [বুখারি ৮৮৩, ৯১০, নাসায়ি ১৪০৩, আহমদ ২৩১৯৮, ২৩২০৬, ২৩২১৩, দারেমি ১৫৪১]
উক্ত হাদীসখানায় বলা হচ্ছে যে ব্যাক্তি প্রত্যেক জুমায় গোসল করা, পবিত্রতা অর্জন করা, তেল ব্যবহার করা ও বাড়ী থেকে নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে কোন দুই ব্যাক্তির মাঝে ফাসাদ সৃষ্টি না করা যাতে তারা দুইজন পৃথক হয়ে যায় এবং নামাজ আদায়ের পাশাপাশি মসজিদে চুপ থেকে জুমাআর খুতবা শুনে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত সকল গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এরূপ এক জুমা থেকে অপর জুমা তার গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। সুবহান আল্লাহ।
বন্ধুরা, আমরা অনেকেই হয়ত ভেবে থাকি আমি ত প্রতি জুমা এরূপ পরতে পারব না বা পারি না তাহলে এ হাদীস হয়ত আমি আমল করতে পারব না। প্রকৃতপক্ষে আমরা জানি না কাল আমাদের কি হবে। অতএব আমাদের নিয়ত যদি শুদ্ধ থাকে এবং নিয়তের মাঝে ইখলাস থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা এই হাদীসের উপর আমল করতে সক্ষম হব। আমরা এ সওয়াব অর্জন করতেও সক্ষম হব। ইন শা আল্লাহ।
আসুন আমরা উক্ত হাদীসখানার উপর আমল করি এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের এ আমলের উপর আমাদের অটল থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন।
আহমাদ আমিন (তামীম)