শেষ রাতে ইবাদাতের গুরুত্ব ও একটি চমৎকার কবিতা
হযরত রাসুল صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেন-
আল্লাহ তাআলা তিনটি আওয়ায খুবই পছন্দ করেন- মোরগের ডাক, কুরআন তেলাওয়াতকারীর আওয়ায এবং শেষ রাতে ক্ষমাপ্রার্থনাকারীগণের কান্নার আওয়াজ। ইবনে দাউদ, 13743
হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহ. বলেন-
রাতেন প্রথম প্রহরে একজন আহবানকারী আরশের নিচে থেকে আহবান করতে থাকে যে, ইবাদতকারীগণ উঠবে নাকি? তখন তারা উছে এবং যতটুকু আল্লাহ তাওফীক দেন তারা নামায পড়তে থাকে।
অতপর পুনরায় একজন আহবানকারী রাতের মধ্যভাগে আহবান করতে থাকে যে, আল্লাহর অনুগত বান্দাগণ উঠবেনা কি? অতপর তারা উঠে এবং শেষরাত পর্যন্ত নামাজ পড়তে থাকে। অতপর যখন শেষ প্রহর হয় তখন জনৈক আহবানকারী আহবান করতে থাকে, সাবধান! ক্ষমা প্রার্থনাকারীগণ যেন উঠে যায়।
অতপর তারা উঠে এবং নামায পড়ে ও ক্ষমা প্রার্থনা করে। অতপর যখন ফজর ওয়াক্ত হয়ে যায় তখন একজন আহবান কারী আহবান করতে থাকে, সাবধান! গাফেল ব্যাক্তিরা উঠবেনা কি? তখন গাফেল ব্যাক্তিরা এমনভাবে বিছানা ছেড়ে উঠে যেমন মৃত্যব্যাক্তিরা হাশরের দিন কবর ছেড়ে উঠবে।
হযরত লোকমান আ. নিজ পুত্রকে লক্ষ করে বলেন-
يا بنى لا يكون الديك اكيس منك ينادى بالاسحار وانت ناىْم
‘হে বৎস! মোরগ যেনো কখনও তোমার থেকে বুদ্ধিমান বলে পরিচিত না হয়। সে শেষ রাতে স্বীয় প্রভুকে ডাকতে থাকে। অথচ তুমি ঘুমে বিভোর থাকো।’?
জনৈক কবি চমৎকার বলেছেন-
لقد هتفت في جنح ليل حمامة * على فنن وهنا ًوإني لنائم
كذبت وبيت الله لو كنت عاشقاً * لما سبقتني بالبكاء الحمائم
وأزعم أني هائماً ذو صبابة لربي * فلا أبكي وتبكي البهائم
“রাতের আধারে বৃক্ষ শাখে বসে ডাকে কবুতর প্রভুকে তার,
আর আমি যখন থাকি নিদ্রায় বিভোর।
মিথ্যাবাদী আমি, হতাম যদি প্রভু প্রেমিক খাঁটি
বায়তুল্লাহর কসম! হতোনা কবুতর, ক্রন্দনে মোর অগ্রগামী।
ভাবি আমি প্রেমানলে বিদগ্ধ, সম্পর্ক যার মাওলার সাথে।
অথচ পারিনা অশ্রু ঝরাতে, বনের পশু যখন অঝোরে কাদে।”