রাসুলের (ﷺ) প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের শ্রেষ্ঠতম উপহার।
তিনি আরো বলেন, “আমার রওজা শরীফের সন্নিকটে দণ্ডায়মান ব্যক্তির দরূদ ও সালাম আমি শুনতে পাই। আর দূরবর্তীদের দরূদ ও সালাম আমার নিকট পৌছে দেয়া হয়।” “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মতের দরূদ ও সালাম আমার নিকট পৌছে দেয়ার নিমিত্তে একদল ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন। তারা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে এবং দরূদ ও সালাম অনুসন্ধান করে ফেরে। হযরত রাসূলে করীম সা: বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার একজন নির্ধারিত ফেরেশতা আছেন। যাকে তিনি সৃষ্টিকুলের সকল কথা শ্রবণের ক্ষমতা দিয়েছেন। আমি যখন মৃত্যুবরণ করব তখন সে আমার কবরের কাছে দাযিয়ে থাকবে। অতপর যে কেউ আমার উপর খাঁটি মনে দরূদ পড়বে সে বলবে, “হে মুহাম্মাদ (ﷺ) আপনার উপর অমুকের পুত্র অমুক দরূদ পড়েছে…। (মাদারেজুন নবুওয়াত)
উপরের বর্ণনা থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা গেল যে, হযরত নবী করীম (ﷺ) এর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা ব্যতীত তাকে হাদীয়া-তোহফা ও উপহার দেয়ার মত আমাদের হাতে আর কিছুই নেই। অতএব হযরত নবী করীম সা. এর প্রতি আবেগ-আপ্লুত ও হৃদয়ে নিংড়ানো দরূদ ও সালামই হচ্ছে তার প্রতি আমাদের ভালবাসার শ্রেষ্ঠ উপহার।