সালাতুল ইস্তেখারা, আল্লাহর নিকট কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা
যখন পড়বে: মানুষ যখন কোন কাজ বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা করে; কিন্তু স্থির করতে পারে না কাজটি বাস্তবায়ন করবে নাকি ছেড়ে দিবে- তখন ইস্তেখারার নামায আদায় করা সুন্নাত।তবে করা বা না করার কোন একটি দিক যদি তার কাছে প্রাধান্য পায় এবং স্থির হয়ে যায় তবে সে সময় ইস্তেখারা করা সুন্নাত নয়।কারণ হলো রাসূলুল্লাহ্ (সা.) অনেক কাজই এমন করতেন যেটায় দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করার পরপরই তা করে ফেলতেন।তিনি এসব প্রত্যেকটা কাজের জন্য ইস্তেখারা করেছেন এরকম বর্ণনা পাওয়া যায় না।সুতরাং ইস্তেখারা হবে কেবল দুনিয়াবি এমন কাজগুলোর ক্ষেত্রে যেটায় দ্বিধা বা সংশয়বোধ কাজ করে।রাসূল (সা.) তাঁর সাহাবীদেরকে ইস্তেখারা শিখাতেন যেভাবে তিনি কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন।
যেভাবে পড়বে: সেই বিশেষ কাজ/সিদ্ধান্তকে মনে রেখে ঘুমের আগে অথবা যে কোন সময় দুই রাকাত নামাজের নিয়ত করবে।নামাজ শেষ হলে এই দু’য়াটি (আরবীতে না পারলে বাংলায়) পড়বে-
اَللهم إنِّي أسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ، وَأسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْألُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيْمِ، فَإنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أعْلَمُ، وَأنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ . اَللهم إنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أنَّ هَذَا الأمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أمْرِي فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ . وَإنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاصْرِفْهُ عَنِّي، وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِيَ الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أرْضِنِي بِهِ .
অর্থ- ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের সাথে মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের সাথে শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি এই (এখানে যে কাজের জন্য ইস্তেখারা করা হচ্ছে তা মনে মনে উল্লেখ করবে) কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে ভালো জান, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহজ করে দাও। অতঃপর তাতে আমার জন্য বরকত দান কর। আর যদি তুমি এই কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে মন্দ জান, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও’।
(দো‘আ কালীন সময়ে ‘আন্না হা-যাল আম্রা’ এর জায়গায় أن هذا الزواج أو أن هذه التجارة
এভাবে প্রয়োজনীয় বিষয়টি উল্লেখ করবে।)
[সহীহ বুখারী ৭৩৯০, তিরমিযী ৪৮০, নাসায়ী ৩২৫৩, আবূ দাউদ ১৫৩৮, ইবনু মাজাহ ১৩৮৩]
অতঃপর সে স্বপ্নে কোন নির্দেশনা পেতে পারে অথবা কাজ করা/না করার ব্যাপারে তার মন একদিকে ঝুঁকে যাবে অথবা কাজটি তার জন্য (ইতিবাচক হলে) সহজ কিংবা (নেতিবাচক হলে) কঠিন হয়ে যাবে।